স্কিল ডেভেলপ করার বেষ্ট অপশন হচ্ছে

স্কিল ডেভেলপ করার বেষ্ট অপশন হচ্ছে



নিজে নিজে শেখা। এতে সময় একটু বেশি লাগলেও, গাইডলাইনটা একটু সলিড না হলেও, কষ্ট একটু বেশি হলেও, কনফিউশন একটু বেশি হলেও, এরর সল্ভ করতে প্যারা একটু বেশি খাইলেও, মেন্টর/সাপোর্ট না পেলেও, নাকানি চুবানি অনেক বেশি খেলেও-- নিজে নিজে শিখতে পারলে শেখা পোক্ত হয়। সেটা তুমি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এপ ডেভেলপমেন্ট, মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স, ব্লকচেইন, গেম ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি, গ্রাফিক ডিজাইন, UI/UX, ভিডিও এডিটিং, এনিমেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, যে স্কিল ই ডেভেলপ করতে চাও না কেন।
.
তবে নিজে নিজে শিখতে গেলে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে
১. কনটেন্ট/রিসোর্চের কিন্তু অভাব নাই। ঠিকমতো গুগল ইউটিউব এ সার্চ দিতে পারলে: এমন কোন টপিক নাই যেটার কোয়ালিটি রিসোর্চ ইউটিউব/গুগলে নাই। তারপরেও আমরা কেন শিখতেছি না? সেটার একটা প্রথম কারণ হচ্ছে-- গুগল/ইউটিউবে সার্চ না দেয়া। সার্চ করে পাওয়া রিসোর্চগুলা ধরে ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এনাফ প্রাকটিস না করা। আটকে গেলে ডাউট ক্লিয়ার না করা। ভালোভাবে ফিনিশ করার জন্য নিজেকে ডেডলাইন না দেয়া।
.
২. সময় দিতে হবে। সময় দেয়া ছাড়া, হার্ডওয়ার্ক করা ছাড়া কোন শর্টকাট নাই। তাই ভালো কিছু করার জন্য ফোকাসডভাবে, ডিডিকেটেডভাবে সময় দিতে হবে। এক-দেড় ঘন্টা না। আবার মৌসুমি পাখির মতো আজকে ১০ ঘন্টা পরেরদিন শূন্য ঘন্টা: এমনও না। বরং আনকম্প্রোমাইজডভাবে কন্সিস্টেন্টলি রেগুলার টাইম দিতে হবে। সম্ভব হলে ডেইলি ডেইলি ডেডিকেটেডভাবে ৬-৮ ঘন্টা সময় দাও। না হয় অন্ততঃ ৪-৬ ঘন্টা সময় দাও। তাইলে শেখার কাজটা তোমার লাইফের টপমোস্ট প্রায়রিটিতে থাকবে।
.
৩. মনে রাখবে-- প্রেস্টিজিয়াস কোন কিছু সহজ না। সহজ কোন কিছু প্রেস্টিজিয়াস না। সো, প্রেস্টিজিয়াস কিছু করতে গেলে: ভালো কোন কিছু শিখতে গেলে নাকানি চুবানি খাবেই। নিজে নিজে শিখতে গেলে ধৈর্য্য ধরে ইস্যুগুলা রিজল্ভ করতে হবে। গুগল থেকে সল্যুশন বের করার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন ফেইসবুক গরূপে বা ফোরামে কিভাবে প্রশ্ন করতে হয়, কিভাবে হেল্প চাইতে হয় সেটা ঠেকে ঠেকে শিখতে হবে। বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলবে তার ভিতর থেকে ভালো গাইডলাইনগুলো ফলো করবে। খারাপ কথাগুলো দুই কান দিয়ে শুনে, মুখ, নাক, কান ছাড়া অন্য কোন জায়গা দিয়ে বের করে দিবে 😃
.
৪. সলিড স্কিল ডেভেলপ করার জার্নি অনেক লম্বা হবে। এক দুই সপ্তাহ বা এক দুই মাসে হবে না। তাই লম্বা টার্গেটকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করো। এমনভাবে ভাগ করবে যেন এক-দেড় বা দুই সপ্তাহের মধ্যে ছোট একটা ডেডলাইন দিয়ে সেই টার্গেট এচিভ করতে পারো। নিজের মতো করে বেশি বেশি প্রজেক্ট করতে হবে। তাহলে প্রগ্রেস ফিল করতে পারবে।
.
উপরের টেকনিকগুলো নিজে এপ্লাই করতে পারলে বেষ্ট।
আর কোন কারনে নিজে নিজে করতে না পারলে এবং একটা গাইডেড এনভায়রনমেন্ট থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চাইলে ডিসেম্বর ২৪ এর মধ্যে প্রোগ্রামিং হিরো এর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স এ এনরোল করো। সেখানে--
১. একদম শূন্য থেকে একজন জুনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য কমপ্লিট একটা জার্নি দেয়া হবে। ছোট ছোট মাইলস্টোন এ ভাগ করে প্রতিদিন ছোট একটা করে মডিউল বা প্রাকটিস প্রজেক্ট দেয়া হবে। ডেডলাইন এর মধ্যে এসাইনমেন্ট সাবমিট করতে হবে। দেরি করলে মার্কস কাটা যাবে।
২. যদিও কোর্স করে ইন্টার্ন বা চাকরি পাওয়ার কোন গ্যারান্টি নাই। তারপরেও আগের ব্যাচগুলাতে দেখা গেছে-- যারা অনটাইমে ভালোভাবে মেইনকোর্স এবং SCIC ফিনিশ করে লেগে থাকলে তাদের ৭০-৮০% কোর্স ফিনিশ করার ৩-৬ মাসের মধ্যে ইন্টার্ন/চাকরি পেয়ে যায়।
৩. ১০ ঘন্টার মধ্যে কোর্স রিলেটেড যেকোন প্রশ্নের উত্তর পাবে। কোন কিছু বুঝতে না পারলে লাইভ কন্সেপচুয়াল সেশনে জয়েন করতে পারবে। প্রতিদিন তিনবেলা (সকাল ১১ টা, বিকাল ৪টা, রাত ৯ টায়) তোমার কম্পিউটারের স্ক্রিনশেয়ার করে লাইভ সাপোর্ট নিতে পারবে।
৪. ছোট খাটো মিলিয়ে ৪০ এরও বেশি প্রজেক্ট দেখানো হবে, করানো হবে, প্রাকটিস টাস্ক হিসেবে দেয়া হবে।

Post a Comment

0 Comments